খুলনা ব্যুরো।। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে খুলনার কয়রা ও দাকোপ উপকূলীয় এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে ৩ হাজার ২ শত ঘরবাড়ি।এছাড়া খুলনার দিঘলিয়া ও দাকোপে দুজন নিহত সহ কয়রায় ২২ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে, দাকোপ উপজেলায় প্রমিলা মন্ডল (৫২) নামে এক নারী ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া দিঘলিয়া সেনহাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনও (৩৫) গাছ চাপায় নিহত হয়েছেন। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল ওয়াদুদ জানান, শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে প্রমীলা দক্ষিণ দাকোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে ছিলেন। সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে নিজের বাড়িতে যান তিনি। সেসময় একটি গাছ তার উপরে পড়লে প্রাণ হারান প্রমীলা।
এদিকে দিঘলিয়া থানার ওসি মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামে সকাল ৯টার দিকে বাসার পাশে অবস্থান করছিলেন আলমগীর হোসেন। এসময় একটি সজনে গাছ ভেঙে তার ওপরে পড়লে আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়
এদিকে বুলবুলের আঘাতে কয়রা উপজেলায় দেড় হাজার ঘরবাড়ি এবং দাকোপ উপজেলায় সতেরশ’ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া রূপসা সহ অন্যান্য জায়গায় একশ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এছাড়া কয়রায় প্রায় ১ হাজার চিংড়ি ঘের, দাকোপে ৩১৫টি চিংড়ি ঘের ও ৪২৫টি পুকুর ভেসে গেছে। এই দুটি উপজেলায় গতকাল মধ্যরাত থেকে বিদুৎ নেই। কয়রায় ৮০ টি বিদ্যুতের পিলার পড়ে গেছে, প্রায় ৭০০ মিটার ও আড়াই শত স্খানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে এই দুই উপজেলার কয়েক হাজার গাছপালাও পড়ে গেছে। বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে গোটা খুলনা জেলা। মহানগরেও অনেক বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক সড়কে।
তিনি আরও জানান, একই গ্রামে গাছ পড়ে আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে ঝড়ের প্রভাব কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।